অধিক সময় ধরে সহবাস করার পদ্ধতি জেনে নিন

0
105

অধিক সময় ধরে সহবাস করার পদ্ধতি জেনে নিন। ফরাসি যৌন বিজ্ঞানীরা যৌনক্ষমতা(Sexuality) কে দুটি সুনির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করেছেন। তারা এক শ্রেণিকে বলেছেন ‘Je fais quand je veux’ অর্থাত্‍ আমার যখন ইচ্ছা তখনই আমি যৌন মিলন(Sexual intercourse) এ অংশগ্রহণ করতে পারি। দ্বিতীয় শ্রেণী বলেছেন ‘Je fais quand je peux’- আমি মিলনে অংশগ্রহণ করতে পারি যখন আমার মধ্যে যৌনক্ষমতা(Sexuality) বজায় থাকে। সাধারণতঃ ১৬ থেকে ৩৮ বছর বয়সের মধ্যে, কখনো কখনো ৪০-৪৫ বছর বয়স পর্যন্তও একজন পুরুষ দিন বা রাত্রি যে কোন সময়, যখনই ইচ্ছা যৌন মিলন করতে প্রবৃত্ত হতে পারেন। এই যৌন মিলন(Sexual intercourse) করার জন্য তিনি ইচ্ছা করলে রতিলীলার দ্বারা নিজেকে উত্তেজিত করে নিতে পারেন অথবা রতিলীলাকে বাদও দিতে পারেন। এই মিলনে তার স্ত্রী সঙ্গীর ইচ্ছা বা আধা ইচ্ছাও থাকতে পারে এবং যে কোন অবস্থায়, যে কোনো ভঙ্গিতে এবং যে কোন অবস্থানে চাইলে এরা মিলন করতে পারেন। চল্লিশ বা পঞ্চাশোরধ ব্যক্তিরা মিলনের সময় এবং সযন্তে নির্বাচন করে নিলেও সব সময় মিলনে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। বয়স যত বাড়তে থাকে, যৌন মিলনের বিরতির (frequency) সময় ততই দীর্ঘ হতে থাকে। এই বয়সে মিলনে প্রবৃত্ত হতে গেলে এরা রতিলীলার দ্বারা তীব্রভাবে উত্তেজনা লাভের প্রয়োজন অনুভব করেন। শুধু রতিলীলায় অভিজ্ঞ, ধৈর্যশীল এবং তীব্র যৌন আকর্ষণ(Sexual attraction) সম্পন্ন ব্যক্তিরা। মিলন সঙ্গীর এইসব দৈহিক এবং চরিত্রগুণ এই বয়সের পুরুষের যৌন মিলনের অন্যতম প্রধান সহায়ক। এমন বহু বয়স্ক আছেন, যারা অপরিচিত এবং অসহযোগী নারীর সান্নিধ্যে এলে যৌন অক্ষম(Sexually disabled) হয়ে যান, কিন্তু স্ত্রীর কাছে এলে মিলনে সহজে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। আবার স্ত্রীর বয়স বেশী হওয়ার জন্য অথবা কোন অসুখ-বিসুখের ফলে দৈহিক স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া এইসব স্বামীরা যৌন মিলন(Sexual intercourse) করতে অক্ষম হয়ে যান। পুরুষের বেশী বয়সে যৌন অক্ষম হয়ে যাওয়ার মূলে যেসব কারণ আছে, এই কারণটি তার মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান কারণ। সাধারণত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলন কাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন। তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন(Sexual intercourse) করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে। চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা: এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাস্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ(Penis) সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন। এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ(Penis) আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে। স্কুইজ পদ্ধতি একবার মিলন করার সময় আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে। সংকোচন (টেনসিং): এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারণা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিঁচুনি দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হলো এখানে আমরা খিঁচুনি প্রয়োগ করব- চাপ নয়। মিলন কালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন(Sexual) কার্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচণ্ড শক্তিতে খিঁচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিঁচুনি দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন(Sexual) কর্ম শুরু করুন। সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামি হবে। বিরাম (টিজিং / পজ অ্যান্ড প্লে): এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারণত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলন কালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌঁছলে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভেতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যত্‍ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ(Semen pressure) কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন। বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের ওপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন(Sexual) কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুণাগুণ জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিসের উপর নির্ভর করে। বিষয়গুলো প্রতিটা পুরুষেরই জেনে রাখা দরকার। বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাতে আপনারা দু’জনেই লাভবান হবেন। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারণ সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে তার নিজেরই লাভবান হওয়া। মিলন অধিক সময় স্থায়ী করার মানসিক এবং শারিরীক পদ্ধতি : সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা। নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা। অনেক ক্ষেত্রে কুত্‍সিতও! বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোম্যান্টিক ডেট, রোম্যান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে। অনেকেই মনে করেন, বিয়ে তো হয়েই গেছে! এখন আর এসব করে কী লাভ? আরে, বিয়ের পরই তো এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুণ মানসিক ও শারীরিক ভাবে। প্রেম ও যৌনতার দুনিয়া, দুটোকেই ভরিয়ে রাখুন নতুনত্বে। এবার এক নজরে দেখে নিন যৌন মিলন(Sexual intercourse) দীর্ঘস্থায়ী করার আরো কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে। মাঝে মাঝে একটু দুরত্ব বজায় রাখুন: একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here