সৌদি আরবের রাজ’ধানী রিয়াদে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে তিন মাস ধরে চিকিৎসা’ধীন রয়েছেন বাংলাদেশের এক তরুণী গৃহকর্মী। সংসারের অভাব ঘোঁচা’তে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়ে’ছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু সৌদি আরব যাওয়ার ১০ দিনের মাথায় তার ওপর শুরু হয় পাশ’বিক নির্যাতন। তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। ওই কক্ষে তিন দিন ধর কয়েক’জন তাকে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রিয়াদের ছিমুছি হাস’পাতালে রেখে যায় ধর্ষকরা। সেখানে তিন মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই তরুণী। এর মাঝে গত রবিবার তাকে ছিমুছি হাস’পাতাল থেকে ১৫০ মাইল দূরে তৌমির হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ভাঙা গলায় একটু একটু কথা বলতে পারলেও বিছানা থেকে উঠে বসতে পারছেন না তিনি। তৌমির হাস’পাতালে কর্মরত এক বাংলাদেশি বলেন, ‘কিভাবে নির্যা’তনের শিকার হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ধর্ষণের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আ’ঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তরুণী গৃহকর্মীর।’ তিনি আরও বলেন, ‘তরুণী গৃহকর্মী জানায়, সে যে অফিসের মাধ্যমে সৌদিতে এসেছিল সেখান’কার বাংলাদেশিরাও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সে এতটুকু বলতে পারে তার ওপর কিছু লোক ঝা’পিয়ে পড়েছিল। অজ্ঞান হয়ে গেলে আর কিছুই মনে নেই তার।’ এ ঘটনায় সৌদি আরবের বাংলা’দেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে অপরাধী’দের বিচার সুনিশ্চিত করে তাকে দেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে ভুক্ত’ভোগী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।